সঞ্চয়পত্রের মত প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের লাগাম টানতে নতুন সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে একক নামে তিনটি প্রবাসী বন্ডে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি হতে পারবে না।
এছাড়াও, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডসহ বিদেশি মুদ্রার তিন ধরনের বন্ডে বিনিয়োগ করে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মর্যাদা এখন থেকে আর পাওয়া যাবে না। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে আট কোটি টাকা বা এর বেশি টাকা বা সমপরিমাণের বিদেশি মুদ্রা বিনিয়োগ করলে মিলত সিআইপি মর্যাদা। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে ১০ লাখ ডলার করে বিনিয়োগ করলেও মিলত এই মর্যাদা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারির পর সোমবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আইনে যাই বলা থাকুক, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা হবে এক কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতোদিন প্রবাসী বন্ডে খুব বেশি বিনিয়োগ হত না। সে কারণে বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট কোনো সীমাও দরকার হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ তিন বন্ডে বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
৩ ডিসেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে একক নামে ৫০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন না কেউ। যৌথ নামে এক কোটি টাকার বেশি কেনা যাবে না।
এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটিও সোমবার সার্কুলার আকারে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।