বিমানের একটি দুষ্টচক্র কারসাজি করে অবৈধ লাগেজ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে বিমান বড় অঙ্কের রাজস্ব হারালেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী লাভবান হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সংস্থাটির উপর ‘দুর্নীতি’ নামক নাছোড়বান্দা প্রকৃতির যে ভূতটির আছর হয়েছে, অনেক সাধ্য-সাধনা করেও বিমানের কাঁধ থেকে তাকে নামানো যাচ্ছে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর ফলেই সম্ভাবনাময় এ সংস্থাটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। আধুনিক কৌশল ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে অর্থ ও সুনাম অর্জনের কাজটি দুরূহ না হলেও কেন তা সম্ভব হচ্ছে না- এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসেছে বলে মনে করি আমরা।
জানা গেছে, অবৈধ লাগেজ বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশ বিমানের সব রুটের কার্গো ব্যবসায় ধস নেমেছে। সাধারণত প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে প্রবাসী যাত্রীদের মধ্যে ‘অ্যাকসেস ব্যাগেজ’ আনার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য, একজন বিমানযাত্রী সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের লাগেজ বহনের সুযোগ পেলেও ঈদ মৌসুমে তারা ৫০ থেকে ৬০ কেজির ব্যাগেজ নিয়ে দেশে ফিরছেন।
এ সুযোগে আন্তর্জাতিক স্টেশনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত ব্যাগেজ বহনের সুবিধা দিয়ে সমপরিমাণ কার্গো পরিবহন কমিয়ে দিচ্ছেন। বলাই বাহুল্য, ‘অ্যাকসেস ব্যাগেজের’ কল্যাণে উপার্জিত অর্থ বিমানের কোষাগারে জমা না হয়ে দুর্নীতিবাজদের পকেটে যাচ্ছে। অবশ্য এ অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে আন্তর্জাতিক স্টেশনগুলোর কার্গো পরিবহন ব্যবস্থা অটোমেশন করার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। দেখার বিষয়, এতে কতটুকু কাজ হয়।
https://slotbet.online/