- Channel52inc - https://channel52us.com -

আটলান্টিক সিটিতে বিএএসির উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা

আটলান্টিক সিটিতে বিএএসির উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা

সুব্রত চৌধুরী | আটলান্টিক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সেবার আয়োজন করলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি (BASC)। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য ‘ঘরের পাশে সেবা’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ দিতে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা চালু করা হয় আটলান্টিক সিটিতে।

নিউজার্সির স্টকটন বিশ্ববিদ্যালয় ও BASC-এর যৌথ উদ্যোগে ১৮ জুন, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় ১৩২ নর্থ ফ্লোরিডা অ্যাভিনিউতে অবস্থিত কাউন্টি ভবনে। সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, নিউ ইয়র্ক।

‍দুই শতাধিক প্রবাসীর সাড়া, প্রশংসিত উদ্যোগ

এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোঃ আনিসুজ্জামান, প্রথম সচিব প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, প্রথম সচিব মোঃ আরিফুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পারভেজ আহমদ, পার্সোনাল অফিসার আব্দুল আউয়াল, এস এম মফিজউদ্দীন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবার আওতায় প্রবাসীরা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) নবায়ন, নো ভিসা রিকোয়ার্ড (NVR), জন্ম সনদ, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রক্রিয়াকরণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সেবা গ্রহণ করেন।

‍প্রবাসীদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি

ভোর থেকে প্রবাসীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই ভিড় জমাতে থাকেন কাউন্টি ভবনে। সারিবদ্ধভাবে সেবা গ্রহণ করতে দেখা যায় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে। ঝক্কি-ঝামেলাহীন এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করেন সবাই।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন BASC-এর সভাপতি শহীদ খান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ, সিনিয়র সংগঠক আহসান হাবিব, আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস, ফরহাদ সিদ্দিক, জয়ন্ত সিংহ, কৃষ্ণ চৌধুরী সহ আরও অনেকে। তাঁরা প্রবাসীদের সেবায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আন্তরিকতা ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বাড়ানোর দাবি জানান।

‍নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে প্রশংসা ও প্রত্যাশা

BASC সভাপতি শহীদ খান বলেন- “প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও কনস্যুলেট সেবা গ্রহণের দুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে এনেছে এই ভ্রাম্যমাণ সেবা। আমরা বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানাই এবং আশাবাদী—এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

ডেপুটি কনসাল জেনারেল আনিসুজ্জামান বলেন- “আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের নাগরিকদের কনস্যুলেট সেবা আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও সময়ে উপযোগী করতে। BASC-এর সহযোগিতায় এই আয়োজন প্রমাণ করেছে, আমরা চাইলে সবকিছুই সম্ভব।”

‍ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা

BASC নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন-এই উদ্যোগ প্রবাসীদের জীবনকে সহজ করার এক অংশ মাত্র। ভবিষ্যতে নিয়মিত বিরতিতে এমন সেবা চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রবাসীদের অনেকে জানিয়েছেনএত সহজে, এত দ্রুত সেবা পেয়ে তাঁরা রীতিমতো বিস্মিত ও আনন্দিত। তাঁরা চাইছেন-প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর অন্তর যেন এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ সেবা তাদের এলাকায় চালু থাকে।