মারিউপোলের কাছে প্রায় ৮৫ মিটার দীর্ঘ গণকবরের সন্ধান মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে চিহ্নিত হওয়া এই গণকবরে প্রায় ২০০ মানুষেকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেইনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ‘ইন্টারসেপ্ট’ করা একটি অডিও ফাঁস করেছে, যেখানে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করার জন্য রুশ সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মারিওপোল দখলের পর রাশিয়া জানিয়েছে, শুধু ডানবাস অঞ্চল নয়, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তাদের সামরিক হামলার লক্ষ্য। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলের রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা সাময়িক। তাদের সীমান্তের ওপারে ছুঁড়ে ফেলা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে নতুন করে ৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও সিএনএনের।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাক্সার টেকনোলজিস তাদের স্যাটেলাইট চিত্র পর্যালোচনা করে বলেছে, মার্চের শেষ দিক থেকে কবরস্থানটির পরিসর বাড়তে শুরু করেছিল।
ইউক্রেইনের স্থানীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার সেনাদের হাতে নিহত মারিউপোলের বাসিন্দাদের এই গণকবরে সমাহিত করেছে রুশরা। তবে মস্কো এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
গণকবরটি মারিউপোলের প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে মানহুশ নামক একটি গ্রামের কাছে। মাক্সার বলছে, কবরস্থানটিতে চারটি ভাগে সারিবদ্ধ কবর আছে, যা প্রায় ৮৫ মিটার দীর্ঘ। তবে বিবিসি স্যাটেলাইটের ছবিগুলো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।
রুশ বাহিনী ওই একই জায়গায় বেসামরিক নাগরিকদের কবর দিচ্ছে বলে এর আগে এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছিল মারিউপোলের সিটি কাউন্সিল। তারা বলেছিল, রুশ বাহিনী পরিখা খনন করছে, মরদেহ নিয়ে যেতে লরি ব্যবহার করছে। আকাশ থেকে নেওয়া নিজস্ব একটি ছবিও প্রকাশ করেছিল সিটি কাউন্সিল। তারা বলেছিল, পাশের সমাধিক্ষেত্রের চেয়ে গণকবরটি ইতোমধ্যেই দ্বিগুণ বড় হয়ে গেছে।
সিটি মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো বলেছেন, মারিউপোলে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়ে থাকতে পারে। তবে ইউক্রেইন ও এর পশ্চিমা মিত্রদের ব্যাপকহারে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন প্রমাণ প্রকাশ হতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, রুশ সেনারা ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। মস্কো ও কিয়েভকে আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
https://slotbet.online/