১৩ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৮, শনিবার

  • বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
পাকিস্তানের জন্যই মরবো, দুর্বৃত্তদের চাপিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ইমরান
রিপোর্টারের নাম / ৪২৯ বার
আপডেট সময় শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষমতা হারানোর দিন মধ্য রাতে সুপ্রিম কোর্ট খোলা রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য ক্ষমতা হারানো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পেশোয়ারে এক র‌্যালিতে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ নিয়ে। বলেন, আমি পাকিস্তানেই বসবাস করবো। মরবো পাকিস্তানের জন্যই। তবে কখনোই আমদানি করা সরকারকে মেনে নেবো না। ওদিকে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমান সরকারি জোটের নেতা আহসান ইকবাল, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।

ওই সমাবেশে ইমরান বলেন, তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের আগে শেষ রাতেও সুপ্রিম কোর্টের দরজা ছিল খোলা।

উল্লেখ্য, আগেই সুপ্রিম কোর্ট ৯ই এপ্রিলে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব ভোটে দিতে পার্লামেন্টকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু স্পিকার, কার্যত সরকার এতে নানা রকম টালবাহানা করছিল। তারা সময় ক্ষেপণ করতে থাকে, যাতে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট বিলম্বিত হয় এবং সেই ফাঁকে সরকার নতুন ফন্দি আঁটতে পারে। তাদের এই মনোবাসনা বুঝে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট ও সংশ্লিষ্টরা।

ফলে রাত ১২টা বাজার আগেই সুপ্রিম কোর্টে ছুটে যান প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় মুহূর্তে সব পাল্টে যায়। পদত্যাগ করেন স্পিকার আসাদ কাইসার। তারপর যা হয়েছে তা সবারই জানা। ক্ষমতায় এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তবে এ নিয়ে ইমরান খানের অভিযোগ, শেহবাজ শরীফকে ক্ষমতায় এনেছে বিদেশি শক্তি এবং আকারে ইঙ্গিতে তিনি সেনাদের দিকে আঙ্গুল তোলার চেষ্টা করেন।
কিন্তু ৯ই এপ্রিল কেন মধ্যরাতে আদালত খোলা ছিল, তা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, রাতেও কোর্ট খোলা ছিল। কেন? আমি কি কোনো আইন ভঙ্গ করেছি।

আমি তো জনগণকে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কখনো উস্কে দিই নি। তবে সতর্ক করেন এই বলে যে, যখন সরকারে ছিলেন তখন তিনি বিপজ্জনক ছিলেন না। কিন্তু যখন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, তখন তিনি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। তিনি বলেন, প্রতিবার যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, জনগণ তা উদযাপন করেছে। কিন্তু তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময়ে গণবিক্ষোভ হয়েছে। ইমরান বলেন, আমরা আমদানি করা সরকারকে মেনে নেবো না। যে ঘটনা ঘটে গেঠে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে জনগণ। ইমরান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও তার ছেলে হামজাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পিএমএলএনের সুপ্রিমো নওয়াজ শরীফ রয়েছেন পলাতক।

তার মেয়ে পিএমএলএনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এই দুর্বৃত্তদের আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে অবমাননা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শেহবাজ শরীফ ৪০০০ কোটি রুপি দুর্নীতির মামলা মোকাবিলা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়েছিল জুলফিকার আলি ভুট্টোকে। কিন্তু এখন আর সেই ১৯৭০ সাল নয়। এটা হলো নয়া পাকিস্তান।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
https://slotbet.online/