যে কোন ভ্রমণে হোটেল বুকিং খবুই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কাজের উদ্দেশ্যে হোক আর অবকাশ যাপনের জন্য, হোটেল বুকিং করা যেকোন ভ্রমণের অভেদ্য অংশ।
জেনে খুশি হবেন যে, হোটেল শিল্পের নিয়ম কানুনের মধ্যে কিছু ফাঁকফোকর রয়েছে। সে সব ভাল ভাবে জানা থাকলে একজন স্মার্ট ভ্রমণকারি অল্প খরচ করে হোটেল থেকে বেশি পরিমাণ সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন।
তো কিভাবে আপনি আপনার ভ্রমণকে করতে পারেন লাভজনক? আসলে এই পুরো প্রক্রিয়াটা শুরু হয় হোটেল বুকিং থেকেই। যখন আপনি ওয়েবসাইট থেকে হোটেলের নামের তালিকা পড়ছেন আর ভাবছেন কোনটায় ফোন দিবেন তখনই আসলে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়।
জেনে নিন হোটেলের খরচ কমানোর ৫টি দরকারি টিপস –
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
অনেকেই ক্রেডিট কার্ডকে বাড়তি বোঝা মনে করে। ক্রেডিট কার্ডকে অনেকেই পুঁজিবাদীদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার আরেকটি হাতিয়ার মনে করেন। ক্রেডিট কার্ড অনেক ব্যাপারেই নগদ টাকার তুলনায় ব্যয়বহুল।
তবে হোটেল বুকিং, রেস্টুরেন্ট অফার এবং বিমান টিকিট কেনার ব্যাপারে বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন। এসব ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড আপনাকে অনেক ধরনের লাভজনক সুবিধা নেয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। দু-এক রাত বেশি থাকা, ফ্রি ডিনার, ক্যাশ ব্যাক, ফ্রি স্পা থেকে শুরু করে নানা রকমের অফার দেয়া হয়ে থাকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য। হোটেল বুকিং করার সময় দেখে নিন কোন হোটেলে কোন ধরনের কার্ডের জন্য এমন সুবিধা রয়েছে।
ভ্রমণের সময়সূচি চেক করেছেন? আরও একবার চেক করুন!
এই ব্যাপারটি বেশিরভাগ মানুষ গুরুত্ব না দিয়ে ভুল করে থাকে। বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যাওয়া হয়। আপনি দেশ থেকে কখন বিমানে উঠছেন সেটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার গন্তব্যের দেশে কখন নামছেন সেটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনি রাত ৩টায় গিয়ে পৌঁছুলেন, এতে করে আপনাকে মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমের জন্য বাড়তি এক রাতের হোটেল খরচ দিতে হচ্ছে। এজন্য এমন ভাবে ফ্লাইট নির্বাচন করুন যাতে বিমানে রাত কাটিয়ে দিনের বেলায় হোটেলে উঠা যায়। এতে আপনার এক রাতের হোটেল খরচ বেঁচে যাবে।
ভ্রমণের দিন তারিখের ব্যাপারে নমনীয় হোন
ব্যবসার কাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই টিপস হয়তো কোন কাজে আসবে না। তবে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ফলপ্রসূ হতে পারে। বেড়াতে যাওয়ার সময় কখনই কোন নির্দিষ্ট তারিখ ধরে বসে থাকবেন না। কারণ একই হোটেলের একই রুম সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়া হতে পারে। ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিন সপ্তাহের কোন দিন গুলোতে ওই শহরের ব্যস্ততা থাকে ও কোন দিন গুলোতে হোটেলের ভাড়া কম থাকে। সপ্তাহের সেই দিন গুলোর কথা মাথায় রেখে ভ্রমণের দিন তারিখ ঠিক করুন। তাহলে বেশ ভাল একটা অংকের টাকা আপনার ভ্রমণ খরচ থেকে বাঁচাতে পারবেন।
নামকরা হোটেল বনাম নাম না জানা হোটেল
রেডিসন, হিল্টন, শেরাটনের মত হোটেলে থাকতে কে না ভালবাসে? কিন্তু একটু বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন অনেক নাম না জানা হোটেল ব্যবসার প্রসারের জন্য জনপ্রিয় পাঁচ তারকা হোটেলের থেকে অনেক কম খরচেই সমমানের সেবা প্রদান করে থাকে। দামি হোটেল গুলো তাদের অতিথিদের থেকে রীতিমত ডাকাতি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। উদাহরণ স্বরূপ – পাঁচ তারকা হোটেল গুলো বাথরুমে থাকা শ্যাম্পু ব্যবহার করার জন্যও আপনাকে আলাদা বিল ধরিয়ে দেবে। অন্যদিকে দুই বা তিন তারকা হোটেলে আপনি লোকাল ফোন কল এমনকি সকালের নাস্তাও কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে বিনামূল্যে পেতে পারেন। তাই পকেট ফুটো করে শুধুমাত্র ফেসবুকে একটা দামি চেকইন দেয়ার জন্য পাঁচ তারকা হোটেল বুক না করে অখ্যাত কোন ভাল হোটেল খুঁজে নিন।
বাড়তি সুবিধা চেয়ে নিন
একটা বহুল প্রচলিত কথা আছে – পরিবর্তন আপনার থেকে হয় না, পরিবর্তন করতে হয়। আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না মন্দার সময় একজন হোটেল মালিকের কাছে আপনি কতটা আশীর্বাদ স্বরূপ। অফ-সিজনে একজন গেস্ট পেতে হোটেল গুলো উন্মুখ হয়ে থাকে আর রীতিমত অফারের ডালি সাজিয়ে বসে থাকে। তাই বুকিং দেয়ার সময় একটু মুলামুলি করে নিজের প্রাপ্য অফার গুলো বুঝে নিন। এই সময় অধিকাংশ হোটেলেই বিদ্যমান নানান সুবিধা যেমন সুইমিং পুল, জাকুজি, টেনিস, বিলিয়ার্ড ইত্যাদির দামও কমিয়ে দেয়া হয়। তাই এসবের ব্যাপারেও খোঁজ নিন। কোন ধরনের বাজে ব্যবহার না করে সুন্দর ভাবে অনুরোধ করুন। আপনার ইকোনমি রুমের খরচেই হয়তো পেয়ে যেতে পারেন ডিলাক্স সুইট।
https://slotbet.online/