৫ আগস্ট-বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অহিংস গণতান্ত্রিক বিপ্লবের দিন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরে অনুষ্ঠিত হলো ইউএস-বাংলাদেশ অ্যাডভোকেসি কাউন্সিল (ইউবেক) আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভা-“দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড দ্য রোল অব ইনটারিম গভর্নমেন্ট ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিশিষ্ট প্রবাসী বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ৫ আগস্টে স্বৈরাচারী সরকার পতনের মধ্য দিয়ে যে অহিংস বিপ্লব শুরু হয়েছিল, তার চালিকাশক্তি ছিল তরুণ সমাজ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেন, “১৫ বছরের দমন-পীড়নের অবসান হয়েছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে, কোনো সামরিক অভ্যুত্থানে নয়।”
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিচার, স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও সাইবার নিরাপত্তা খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা বিশিষ্ট পেশাজীবীরা। তাদের মতে, নতুন নেতৃত্বকে সময় ও সহনশীলতা দেখাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউবেক-এর সমন্বয়কারী সামছুদ্দীন মাহমুদ বলেন, “অরাজনৈতিক, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যেই ইউবেক কাজ করছে। ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে গণতান্ত্রিক সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে ইউবেক।”

কপিল স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিন প্রফেসর জামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় অংশ নেন মেজর (অব.) মনজুরুল হক, ডা. মাকসুমুল হাকিম, ডা. আহমেদ নেওয়াজ খান সেলাল, মুশফিকুর রহমান, শামারুখ মহিউদ্দিন, খুরশিদ সাব্বির, স্যাম রিয়া, হাসান চৌধুরী, রফিকুল হক, শামীমা সেলিমুদ্দীন এবং নওশের আলী।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মেজর (অব.) সাফায়াত আহমেদ ও রাইশা ফারিন।
তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন শামায়লা নারমিন ইরশিয়া, এবং একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য শিল্পী কনিকা খান-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।