স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর পঞ্চগড় থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদকে মন্ত্রী করা হয়। ক্লিন ইমেজের সাংসদ হিসেবে নুরুল ইসলাম সুজনকে মন্ত্রী করায় বোদা দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের প্রধানসহ পুরো জেলাবাসী আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
নুরুল ইসলাম সুজন ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ মহাজনপাড়ায় সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। এরপর ময়দানদীঘি বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি পাস করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নুরুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ঢাবির সিনেট সদস্যও ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন নুরুল ইসলাম সুজন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার একজন আইনজীবীও নুরুল ইসলাম। তিনি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের দু’বারের নির্বাচিত সভাপতি। মরহুম এমাজউদ্দীন আহমেদ ও মরহুমা কবিজান বেছারের দ্বিতীয় সন্তান নুরুল ইসলাম সুজন। তার বড় ভাই মরহুম অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ নম্বর সেক্টরের হয়ে অংশ নেন সিরাজুল ইসলাম। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম সুজন ঢাকায় আইন পেশার পাশাপাশি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাতকারে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
https://slotbet.online/