১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৩১, শুক্রবার

  • বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর
রিপোর্টারের নাম / ৪৭০ বার
আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সাফল্যের খবর দিলেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা এবং একই সঙ্গে তারা চিকিৎসার জন্য নতুন কিছু ধারণাও নিয়ে এসেছেন। তারা বলছেন, এখন থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরো শরীরের জন্য ওষুধ না দিয়ে শুধু আক্রান্ত কোষগুলোর চিকিৎসা সম্ভব।

ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইন্সটিটিউটেরর একটি দল ৩০ ধরনের ক্যান্সার থেকে ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে ওষুধ প্রয়োগ করে প্রায় ৬০০ নতুন ধরনের ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

এ মুহূর্তে ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেয়া হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় পুরো শরীরেই কমবেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

গবেষকদের একজন ডা. ফিওনা বেহান। তার মা ক্যান্সারে দুইবার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। প্রথম দফায় ডা. বেহানের মাকে যে কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছিল তাতে তার হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়েছিল। ফলে দ্বিতীয় বার তিনি যখন আবার ক্যান্সার আক্রান্ত হলেন তখন চিকিৎসা নেয়ার মতো অবস্থা আর তার ছিল না।

ডা. বেহান বিবিসিকে বলন, এখন যে চিকিৎসা আমরা করছি তা ক্যান্সার রোগীর পুরো শরীরের চিকিৎসা। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষগুলোকে চিহ্নিত করছি না।

‘এ গবেষণায় আমরা ক্যান্সার কোষগুলোর দুর্বলতম স্পটগুলোকে শনাক্ত করেছি এবং এটি আমাদের ওষুধ তৈরিতে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, এগুলো শুধু ক্যান্সার কোষগুলোরই চিকিৎসা দেবে এবং ভালো কোষগুলোকে অক্ষত রাখবে।

জিনগত অস্বাভাবিকতা

ক্যান্সার মানুষের শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়। ফলে ডিএনএ নির্দেশনাও পরিবর্তন হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে আক্রান্ত কোষগুলো ছড়াতে থাকে ও একপর্যায়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

এখন গবেষকরা বলছেন, তারা ক্যান্সার জিনগুলো অকার্যকরের পথে অগ্রগতি অর্জন করেছেন এবং তারা দেখতে চেয়েছেন যে কোনগুলো বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় ৩০ ধরনের ক্যান্সার থেকে ল্যাবরেটরিতে বেড়ে ওঠা ৩০০টির বেশি টিউমারের জিন বাধাগ্রস্ত করেছেন তারা। এ জন্য তারা বিশেষ ধরনের জেনেটিক টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন, যেটি গত বছর চীনে ব্যবহৃত হয়েছিল।

ডিএনএতে কাজ করার জন্য এটি মোটামুটি সহজ ও নতুন। নতুন এ গবেষণা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যে ধারণা নিয়ে এসেছে সেটি চিন্তা করা এক দশক আগেও অসম্ভব ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

জার্নাল নেচারে এ গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে যেখানে গবেষক ৬ হাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিন চিহ্নিত করেছেন।

ডা. বেহান বলেন, আমি বুঝতে পারছি ক্যান্সার সেলগুলোতে কী হচ্ছে – যাতে করে সুনির্দিষ্টভাবেই ওই কোষগুলোর দিকে বন্দুক তাক করা যায়।

গবেষকদের প্রধান লক্ষ্য প্রত্যেক ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য একটি ‘ক্যান্সার ডিপেনডেন্সি ম্যাপ’ প্রণয়ন করা। এর ফলে চিকিৎসকরা টিউমারগুলো টেস্ট করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংসের জন্য ওষুধ দিতে পারবেন।

‘এটা লেজার সাইট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ,’ বিবিসিকে বলেন ডা. বেহান।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
https://slotbet.online/